প্রতিদিন তানিশা প্রটেকশন এর প্যাকেট সহ প্রটেকশন ফ্লোর থেকে তুলে ফেলে দেয়।
কিন্তু তাঁর সাথে জোরপূর্বক কোন ধর্ষণ করা হয়নি এটা শিওর তানিশা। মনে হয় যেন তাঁর ইচ্ছে তেই সে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। জোরপূবক ধর্ষণ করা হলে শরীরে কোন হাতাহাতির বিষয় লক্ষ্যনীয় থাকতো কিন্তুক তেমনটা হয়নি।
প্রতিদিনই সকালে উলঙ্গ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকে তানিশা। তাঁর শরীরের সমস্ত জামা কাপড় মেঝেতে পড়ে থাকে। এলোমেলো চুল বিস্তীর্ণ লুটিয়ে থাকে বিছানার উপর।
কিন্তুক রহস্যের বিষয় এটাই সে যেভাবে রুম আটকিয়ে ঘুমাতে যায় ঠিক সকালে সেভাবেই সে দেখতে পায় রুম আটকানো আছে।
তানিশা বিষয়টা কারো সাথে কখনো শেয়ার করার সাহস করেনি। তবে তাঁদের বাড়িতে এমন কেউ নেই যে এমনটা করবে।
তানিশার সাথে ওর ভাইয়া এমনটা করবে ভাবতেই ওর নিজের ই অপরাধ বোধ জাগ্রত হয়। আমার মায়ের পেটের ভাইয়া সম্পর্কে আমি এসব কি ভাবছি।
তাইলে দাদা। আর দাদা তো বিছানা ছেড়ের উঠতে পারে না তাইলে দাদা...... আবারও মাথা ঘুরায় তানিশার কি সব ভাবছেন।
বাড়িতে আর মাত্র একজন পুরুষ থাকে সেটা হচ্ছে দারোয়ান। কিন্তুক চিন্তার বিষয় এটাই দারোয়ান আঙ্কেলের অনেক বয়স তা ছাড়া বাড়ির মেইন দরজা আটকানো থাকে।
মেইন দরজা না হয় খুলে ভিতরে ঠুকল তাহলে আমার দরজা খুলল কি করে?
আর না হয় আমার দরজা খুলল কিন্তুক কিন্তুক আমার দরজা আটকালো কি করে। অহহহ শিট কিছুই মাথায় আসছে না।।
পরবর্তী দিনে।
তানিশা আবার যথাসময়ে ঘুমিয়ে গেল। আবার ও প্রতিদিনের মতো করে আজও ধর্ষণের শিকার হন তানিশা।
আজও প্রটেকশন ফ্লোরে পায় তানিশা।
তবে কেন জানি তানিশা অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে।
- কি হয়েছে তানিশা তোর ( তানিশার ভাবি)
- না ভাবি আমার কিছু হয়নি।
- তাইলে তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন?
- কিছু না ভাবি এমনিতেই।
- তোর কি যেন হয়েছে। আমি বলি কি তুই কয়েকদিন গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আয়। আম্মু আব্বুর সাথে দেখা করে আয় দেখবি সকল কিছু ঠিকহয়ে যাবে।
- ওকে ভাবি। ভাইকে বল আজকে যেন ট্রেনের টিকিট কেটে রাখে। আমি আজকেই বাড়িতে যাব।
- ওকে।
তানিশা ট্রেনে উঠে বসে আছে আর ওর ভাইয়া ভাবি এগিয়ে দিতে এসেছে।
- দেখে শুনে যাস বোন ( তানিশার ভাইয়া)
- ওকে ভাইয়া।
- বাসায় গিয়ে কিন্তু ফোন করবি?
- ওকে ভাইয়া।
ট্রেন তাঁর নিজস্ব গতিতে চলছে।
তানিশা ভাবছে আমি আমার আপন ভাইয়ের সম্পর্কে কি নাহ ভেবেছিলাম ছি ছি ছি।
রাতে।
- আম্মু আমি আজকে তোমার সাথে ঘুমাব।
- ওকে মা ঠিক আছে।
- তানিশা মা
- জ্বী বাবা।
- কেমন চলছে তোমার পড়াশোনা?
- ভালো বাবা।
- তোমার ভাইয়ার ব্যাবসা বানিজ্য কেমন চলছে?
- ভালো।
- কি হয়েছে মা তোর সবসময় মন মরা হয়ে থাকছিস তখন দেখে দেখছি।
- কিছুনা বাবা।
- আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথাটা বল তো?
- আরে বাবা আমার কিছু হয়নি।
- ওকে যাহ ঘুমিয়ে পড়।
তানিশা ও তাঁর মা ঘুমিয়ে আছে। হঠাৎই তানিশা দেখতে পেল তাকে একটা ছেলে লিপ কিস করছে। খুব করে যেন ছেলেটা কিস করছে তানিশাকে। ঠোঁট, গালে , গলায় যেন কিস করে ভরিয়ে দিচ্ছে ছেলেটা।
কিছুক্ষণ পরে যেন তানিশার মনে হলো ছেলেটা তাঁর সমস্ত জামা কাপড় খুলে ফেলা দেয়। ওকে যেন সম্পুর্ন উলঙ্গ করে ফেলে। ছেলেটাও যেন উলঙ্গ হয়ে আছে। সারা গায়ে যেন তানিশাকে কিস করছে ছেলেটা।
এভাবে ছেলেটা তাঁর শারিরীক চাহিদা মেটানোর জন্য যখন ক্ষিপ্ত হয়ে পরে ঠিক তখন তানিশা ভয়ংকর চিৎকার করে ।
- কি হয়েছে মা তোর? ( তানিশার আম্মু)
- তানিশা চুপ হয়ে আছে। মাথা ঘোরাচ্ছে ওর
- খারাপ কোন স্বপ্ন দেখেছিস মা?
- তানিশা মাথা ঝাঁকালো।
- স্বপ্ন তো স্বপ্নই। এটা নিয়ে টেনশন করতে হবে না ।
- হুমম।
- তুই দাঁড়া আমি পানি নিয়ে আসি । খেয়ে ঘুমিয়ে যাহ।
- হুম।
এভাবেই কয়েকদিন তানিশা ওর আব্বু আম্মুর সাথে সময় দিল কিন্তুক কোন রাতে খারাপ কিছু হয়নি। তারপর তানিশা আবার ব্যাক করল ওর ভাইয়ার কাছে ঢাকায়। তানিশা ঢাকায়....... কলেজের ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের স্টুডেন্ট। তবে তাকে দেখলে মনে হবে না যে সে মাত্র ইন্টারমিডিয়েট স্টুডেন্ট। তাঁকে দেখলে মনে হয় সে অনেক আগেই ইন্টারমিডিয়েট চুকিয়েছে।
রাতে তানিশা, ওর ভাবি, ভাইয়া, দাদা ডিনার করছে ।
- তানিশা বাবা মা কেমন আছেন?
- ভালো।
- আচ্ছা তুই এতো মন মরা হয়ে থাকিস কেন বল তো?
- এমনিতেই ভাইয়া৷
- আমার কাছে শেয়ার না করলে তোর ভাবির কাছে তো শেয়ার করতে পারিস।
- কিছু হয়নি ভাইয়া।
আজকে রাতে তানিশার কেন জানি খুব ভয় ভয় করছে। কারণ এই বাড়িতে আসলে তানিশা ধর্ষণের শিকার হয়।
আজও তাঁর বিপরীত কিছু ঘটল না। তবে একটা জিনিস আলাদা ঘটেছে সেটা হচ্ছে আজকে ফ্লোরে কোন প্রকার প্রটেকশনের প্যাকেট বা প্রটেকশন পাওয়া যায়নি।
তানিশা ভাবছে তাঁর মানে আজকে আমাকে প্রটেকশন বিহীন................ আর ভাবতে পারছে না তানিশা।
কে করছে তাঁর এতো বড় সর্বনাশ। কেন করছে? কি অপরাধ করেছে তাঁর কাছে। হাজার ও চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে তানিশার মাথায়।
পরিশেষে আজকে তানিশা ওর বেস্ট ফ্রেন্ড মিমের সাথে বিষয়টা শেয়ার করে।মিম বিষয়টা শুনে হাসতে হাসতে মারা যাওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছে।
- আমি সিরিয়াস কথা বলছি আর তুই হাসতেছিস তাই না?
- তো কি করব তাইলে? ( কিছুটা হাসি দমিয়ে রাখিয়ে)
- আচ্ছা আমার মনে হয় তোকে প্রতিদিন ভূত ধর্ষণ করছে । হা হা হা
- মজা বাদ দে। আমি যাহ বলি শোন।
- হুমম বল।
- তুই আজকে আমার সাথে থাকতে পারবি?
- পাগল নাকি বাসায় কি বলব?
- বাসায় যাহ বলার আমি বলব।
- ওকে থাকব।
রাতে তানিশা আর মিম শুয়ে আছি।
- তানিশা আজকে আমরা সারারাত জেগে থাকব?
- ক্যান?
- কে আসে আমার ঘরে সেটা দেখব আজকে?
- কে আর আসে ভূত আসে । ( রহস্য স্বরে)
- প্লিজ আজকে আমরা জেগে থাকব। ( করুন স্বরে)
- ওকে ঠিক আছে।
- আর হ্যাঁ আমি তো আবার ঘুম পাগল। আমি ঘুমিয়ে গেলেও তুই ঘুমিয়ে যাবি না কিন্তু?
- ওকে ঠিক আছে।
রহস্য মাখা রাত (২য় পর্ব) →
লেখক (Writer) -
ফেসবুকে লেখক -
Wait for next part :)
ReplyDelete